In Bengali Defense

India's Quick Reaction Surface to Air Missile (QR-SAM)

বেশ কিছু দিন ধরে ভারতের নতুন একটা অস্ত্র নিয়ে ডিফেন্স প্রেমিদের মধ্যে বেশ খুশি খুশি ভাব আছে। সেটি হল ভারতের তৈরি কুইক রিএকশান স্যাম। ৩০কিমি পাল্লার এই স্যাম যেমন একটি জায়গায় মোতায়েন থেকে টার্গেটকে আঘাত হানতে পারে তেমন স্থান পরিবর্তন করতে করতে টার্গেট ডেস্ট্রয় করতে পারে। কিন্তু অনেকের প্রশ্ন একই পাল্লার আকাশ থাকতে নতুন মিসাইল কেন? তবে কি আকাশের গূরুত্ব কম? প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের একটু পাছনে যেতে হবে।
.
১৯৯৮ ১১ই মে। ভারত ১টি হাইড্রোজেন ও দুটি পরমাণু বোমের বিষ্ফরন ঘটায়। ১৩ই মে দুটি ছোট পরমাণুর বিষ্ফরণ ঘটায়। ১৫ই মে পাকিস্তান ৫টি পরমাণু বিষ্ফরণ ঘটায়। এশিয়ায় দুই পরমাণু শক্তির আবির্ভাব ঘটে। এরপর থেকে ভারতে ক্রমশ পরমাণু অস্ত্রের হামলার হুমকি দেয় পাকিস্তান। জাবাব দেয় ভারতের রণনীতি। ভারতীয় সেনার সুদক্ষ নেতৃত্ব নতুন এক প্ল্যানে কাজ করে। এমন এক রণনীতি সামনে আসে যা নিয়ে পাকিস্তানের সেনা থেকে মিডিয়া পাগলামোর শেষ রাখেনি। যার নাম “কোল্ড স্টার্ট ডকট্রেইন”। এটা বুঝতে পাকিস্তানের ম্যাপটা একটু ভাবুন। পাকিস্তানের আকারটা একটা ছোট ফালির মত। যার লম্বা বেশি কিন্তু চওড়া অনেক কম। এরই সুবিধা নেয় আমাদের সমরবীদরা। সবার প্রথমে পাক সীমান্ত বরাবর অসংখ্য ছোট ছোট সেনা দল বা ব্রিগেট মোতায়েন করে। সর্ব নিম্ন ১৫,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০,০০০ সেনা থাকে এক একটি ব্রীগেডে। এই প্রতিটি ব্রীগেডে সেই সব অস্ত্র থাকে যা একটি বড় ব্রীগেডে থাকে। যেমন আর্টিলারি, রকেট, মর্টার ইত্যাদি। কিন্তু এই প্রতিটি ব্রিগেড ডিফেন্সিভ।
.
অর্থাত এদের কাজ সীমান্তে থেকে পাকিস্তানে গোলা বর্ষন করা। কিন্তু তার পাকিস্তানে ঢুকে আক্রমণ করবে না। যেহুতু পাকিস্তানে আর্মি আর অস্ত্রের পরিমান ভারতের থেকে অনেক কম হওয়ায় ভারতের গোলার প্রত্যুত্তর দিতে সেই পরিমান অস্ত্র সীমান্তে মোতায়েন পর ভারতের কাছে আক্রমণের জন্য অনেক অস্ত্র মজুত থাকলেও পাকিস্তানের কাছে ভারতের আক্রমণাত্মক হামলা আটকানোর অস্ত্র থাকে না। সেই সুযোগে ভারতের প্রায় ৬০,০০০সেনার একটি দল পাকিস্তানের মাঝ বরাবর তীব্র আক্রমন করে পুরো ভূখণ্ড কে দুই ভাগে ভাগ করে দেবে। ভরতের এই স্ট্রেটেজি দেখে আমেরিকা বলেছিল "India's Cold start strategy is too hot" ( https://m.usni.org/magazines/proceedings/2011-03/indias-cold-start-too-hot )
.
এই স্ট্র্যেটেজি কে বাস্তবায়ন করার পর পরমাণু হামলার হুমকি ভূলে পাকিস্তান ভাবে কিভাবে ভারতের হাত থেকে বাচা যায়। তখন পাকিস্তানে “ ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি ” মত অবস্থা। সেই পরিস্থিতি থেকে বেড়তে পাকিস্তান “ ট্যকটিকাল নিউক” বানাতে শুরু করে । চীনের এক আর্টিলারি রকেট কপি করে ( হয়তো চীনই মডিফাই করে দিয়েছিল) নাম দেয় “ নাসর ” বা “হাতাফ ৯”। ৬০কিনি পাল্লার এই মিসাইল বানানোর উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সেনা হামলা করললে ভারতের সেনার ওপর এই ছোট ছোট পরমাণু হামলা করে ভারতীয় সেন্য ধ্বংস করা। ভারত জানিয়ে দেয় ভারতের সেনার ওপর হামলা হলে তার জবাবে পুরো পাকিস্তানে পরমাণু হামলা করবে ভারত। যদিও এরপর ভারতীয় সেনা ভাবতে থাকে এমন একটা সিস্টেম যা এই পাকিস্তানি “ নাসর ” এর বিরুদ্ধে কাজ করবে। যার ফল হল ভারতে তৈরি কুইক রিএকশান স্যাম। এখন ভারত পাকিস্তান লড়াই হলে সেনার সাথে শুধু ট্যাঙ্ক বা রকেট আর্টিলারি যাবে না। সাথে যাবে কয়েক রেজিমেন্ট এই Qr-Sam।
.
এই সিস্টেম ৩০কিমি দূরত্ব থাকা যেকোনো নাসরের ধ্বংসে কাজে লাগবে। মাত্র ৩-৫ সেকেন্ড মিসাইল উৎক্ষেপণ সম্ভব। যাতে এই সিস্টেম বানাতে অন্য কোনো দেশের ওপর ভরসা করতে না হয় তাই এর রেডার থেকে মিসাইল সব কিছু দেশে তৈরি হয়েছে। এর ফায়ার কন্ট্রোল রেডার রেঞ্জ ৮৫কিমি। এক্স ব্যন্ডের এই AESA রেডারের নাম দেওয়া হয়েছে “অন্বেশা”। আকাশ সিস্টেম সব কিছু ভাল হলেও এটি মোবাইল সিস্টেম না ও ৩৬০ডিগ্রী কভারেজ না। ও এর রেডারও AESA নয়। তা এই নতুন মিসাইল আমদের কাছে এক নতুন অস্ত্র যার জন্য পাকিস্তানকে নিজের স্ট্রেটেজি আবার ভাবতে হবে

Related Articles

0 comments:

Post a Comment